Taqwa Medicine Corner & Telecom

Medicine Corner & Telecom

ক্যানসার প্রতিরোধে, হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে সরষের তেল!

এই তেলের স্বাদ, তীক্ষ্ণ সুগন্ধ ও হাই স্মোক পয়েন্ট সকলকেই মুগ্ধ করে রেখেছে। তরকারি রান্না, ফোড়ন বা ভাজাভুজিতে এই তেল ব্যবহৃত হয়। কিন্তু এ ছাড়াও মালিশ, সিরাম ও চুলের চিকিৎসাতেও ব্যবহৃত হয় এই তেল।

বাংলার ঘরে সরষের তেল ব্যবহৃত হয়। সরষের তেল ছাড়া মাছ, মাংসের স্বাদ পান না অনেকে। রিফাইন তেলের যুগে শুধু আমিষ কেন নিরামিষ রান্নাতেও নিজের দাপট বজায় রেখেছে সরষের বীজের তেল। এই তেলের স্বাদ, তীক্ষ্ণ সুগন্ধ ও হাই স্মোক পয়েন্ট সকলকেই মুগ্ধ করে রেখেছে। তরকারি রান্না, ফোড়ন বা ভাজাভুজিতে এই তেল ব্যবহৃত হয়। কিন্তু এ ছাড়াও মালিশ, সিরাম ও চুলের চিকিৎসাতেও ব্যবহৃত হয় এই তেল। সরষের তেলের এমন ৭টি উপকারিতা এখানে জানানো হল, যা আপনাকে এই তেল ব্যবহারে আরও উৎসাহী করে তুলবে।

সূক্ষ্ম জীবাণু বাড়তে দেয় না- কিছু কিছু সমীক্ষা অনুযায়ী সরষের তেলে রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু প্রতিরোধের ক্ষমতা বর্তমান। যা এই জীবাণুকে বিকশিত হতে দেয় না। একটি টেস্ট টিউব স্টাডি অনুযায়ী সরষের তেল এস্চেরিচিয়া কোলাই, স্ট্যাফিলোকোকস অরিয়স ও ব্যাসিলস সেরেসের মতো ব্যাক্টিরিয়াকে বাড়তে দেয় না।

ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী- ত্বক ও চুলের জন্যও সরষের তেল উপকারী। এ কারণে হেয়ার ও ফেস প্যাকে এই তেল ব্যবহৃত হয়। আবার গোড়ালি ফাটলে সরষের তেল তা মেরামত করতে সাহায্য করে। ত্বকের সমস্যা দূর ও হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে সরষের তেল। তাই ছোট বাচ্চাদের সরষের তেল দিয়ে মালিশ করা হয়। এই তেল বলিরেখা ও ফাইন লাইন কম করতেও সাহায্য করে।

ব্যথা কম করে- সরষের তেলে এলিল আইসোথিয়োসাইনেট নামক রসায়ন থাকে, যা শরীরের ব্যথা কম করতে সাহায্য করে। এই তেলে আল্ফা লিনোলেনিক অ্যাসিডের মতো ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা ফোলা ভাব কমাতে ও গাঁটের ব্যথা থেকে স্বস্তি দিয়ে থাকে।

ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি কম করে- সমীক্ষা অনুযায়ী কয়েক ধরনের ক্যানসার কোষের বিকাশ ও সম্প্রসারণের পথে বাধা সৃষ্টি করে সরষের তেল। অন্য একটি সমীক্ষা অনুযায়ী শুদ্ধ সরষের তেল কোলন ক্যানসারের কোষের বৃদ্ধিকে প্রতিরোধ করে। আবার অন্য একটি স্টাডি অনুযায়ী, এতে উপস্থিত এলিল আইসোথিয়োসাইনেট ব্ল্যাডার ক্যান্সারের উন্নতি প্রায় ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত আটকাতে পারে।

হৃদযন্ত্রের জন্য ভালো-সরষের তেলে প্রচুর পরিমাণে মোনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা হৃদযন্ত্রের জন্য ভালো। অধ্যয়ন অনুযায়ী সরষের তেল ট্রাইগ্লিসারাইড, রক্তচাপ ও রক্তে শর্করার পরিমাণ কম করতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও খারাপ কোলেস্টেরলও কম করে থাকে, যার ফলে হৃদযন্ত্র নিরাপদ থাকে। তবে বিশেষজ্ঞরা সীমিত পরিমাণে এই তেল ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

ফোলা ভাব কম করে- সরষের তেলে গাঁটের ব্যথার লক্ষণ, ব্যথা ও ব্যাকুলতা দূর করতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি ব্রঙ্কাইটিসের কারণে হয়ে থাকা ফোলাভাব কম করতে সাহায্য করে সরষের তেল। একটি অধ্যয়ন থেকে জানা গিয়েছে যে, সরষের বীজ খেলে সোরায়সিসের কারণে হয়ে থাকা ফোলা ভাব অনেকটাই কম করা যায়। আবার এই তেলে উপস্থিত ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড অক্সিডেটিভ স্ট্রেসকেও দূর করে।

সর্দি-কাশিতে সাহায্য করে- সর্দি বা কাশি হলে কর্পূরের সঙ্গে সরষের তেল মিশিয়ে বুকে লাগালে কফ থেকে স্বস্তি পাওয়া যায়। আবার গরম জলে কয়েক ফোটা সরষের তেল মিশিয়ে ভাঁপ নিলেও সর্দি ও মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

(বিশেষ দ্রষ্টব্য: বিভিন্ন গবেষণায় যে দাবি করা হয়েছে, তার ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন লেখা হয়েছে। পাঠকদের অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত)।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *